বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

জোড়া খুনের মামলায়ও গ্রেপ্তার ছোট সাজ্জাদ, ৪ দিনের রিমান্ডে দুই সহযোগী 

আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৬ পিএম

চট্টগ্রাম নগরে গত ৩০ মার্চ রাতে সংঘটিত জোড়া খুনের মামলায় পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। বাকলিয়া থানা পুলিশের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে রবিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ এই আদেশ দেন।

পাশাপাশি নগরের চান্দগাঁও থানায় দায়ের হওয়া তাহসীন হত্যা মামলায় সাজ্জাদকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আরও পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। উক্ত মামলায় চান্দগাঁও থানা পুলিশ সাজ্জাদের দশদিন রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এর আগে একই মামলায় সাতদিন পুলিশ রিমান্ডে ছিলেন সাজ্জাদ।  

জোড়া খুনের মামলায় গত বুধবার রাতে গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামি মানিক ও বেলালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার। বাকলিয়া থানা পুলিশ এ দুইজনের সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. মফিজ উদ্দীন জানান, বাকলিয়া থানায়  জোড়া খুনের ঘটনায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামিকে অতিরিক্ত  মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি  শেষে তাদের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই মামলায় কারাবন্দী সাজ্জাদকে  গ্রেপ্তার  দেখানোর আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।

তিনি আরও জানান, সাজ্জাদকে চান্দগাঁও থানার তাহসীন হত্যা মামলায় ৬ষ্ঠ  মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের  প্রেক্ষিতে আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এর আগে গত ১৫ মার্চ দিবাগত রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি থেকে সাজ্জাদকে  গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ২৯ মার্চ দিবাগত রাত  সোয়া ২টার দিকে বাকলিয়া থানার এক্সেস রোড এলাকায় প্রাইভেটকারে সন্ত্রাসীদের গুলিতে  মো. আব্দুল্লাহ ও মো. মানিক নামে দুজন নিহত হন। এ ঘটনায় ১ এপ্রিল বাকলিয়া থানায় নিহত  মোহাম্মদ মানিকের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী তামান্না শারমীনসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

গত ৩ এপ্রিল ভোরে নগরের বহদ্দারহাট এলাকা  থেকে  বেলালকে এবং ফটিকছড়ির কাঞ্চননগর থেকে মানিককে গ্রেপ্তার করা হয়। বেলাল ‘সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিলেন’ এবং মানিক  মোটর সাইকেল সরবরাহ করেছিলেন বলে পুলিশের ভাষ্য।গত বছরের ২১ অক্টোবর বিকেলে নগরের চান্দগাঁও থানার অদুরপাড়ায় একদল যুবক প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে তাহসীনকে।

এলাকার আধিপত্য নিয়ে দুই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী-সারোয়ার হোসেন ওরফে বাবলা ও ছোট সাজ্জাদের বিরোধে খুন হন তাহসীন। ছোট সাজ্জাদ বায়েজিদ  বোস্তামী থানা-সংলগ্ন হাটহাজারীর শিকারপুরের  মো. জামালের ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজির ১৬টি মামলা রয়েছে।

 

 

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত