রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিবেশ পুনরুদ্ধারকে অগ্রাধিকার দিতে হবে
অনলাইন ডেস্ক | ৬ মার্চ, ২০২২ ২০:১৫
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিবেশ পুনরুদ্ধারসহ একাধিক দাবি জানিয়েছে জেলাটিতে কর্মরত এনজিও এবং সুশীল সমাজের নেটওয়ার্ক কক্সবাজার সিভিল সোসাইটি অ্যান্ড এনজিও ফোরাম (সিসিএনএফ)।
রোববার দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাবি জানায় সিসিএনএফ।
পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সকল প্রকার প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা, ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার না করা এবং বাঁশের ব্যবহার সীমিত করার উদ্যোগ নেয়ারও দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সব প্রক্রিয়ায় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশ নেওয়া নিশ্চিত, ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার না করা এবং বাঁশের ব্যবহার সীমিত করার উদ্যোগ নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন উন্নয়ন সংস্থা পালসের নির্বাহী পরিচালক আবু মোরশেদ চৌধুরী ও কোস্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তৃতা দেন উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান হামিদুল হক চৌধুরী।
উন্নয়ন সংস্থা ইপসার প্রধান নির্বাহী আরিফুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা কর্মসূচিগুলোর কার্যকর সমন্বয়ের লক্ষ্যে ইন্টার সেকটোরাল কো-অর্ডিনেশন গ্রুপের (আইএসসিজি) প্রধান করা উচিত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারকে এবং সহ-প্রধান করতে হবে জেলা প্রশাসককে।
বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার সদস্যরা বলেন, যৌথ চাহিদা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে স্থানীয় সংস্থাগুলোকেও সম্পৃক্ত করতে হবে। জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান বা জেআরপিতে সরকারের অবদানের যথাযথ স্বীকৃতি থাকতে হবে, কারণ ভাসানচরে ৪০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পাশাপাশি সরকার এ পর্যন্ত রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যয় করেছে। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা কর্মসূচি বাস্তবায়নের সব ক্ষেত্রে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে বাংলা ভাষা ব্যবহার করতে হবে। স্থানীয় এবং জাতীয় এনজিওগুলোর মাধ্যমে মোট তহবিলের ২৫ শতাংশ ব্যয় করে গ্রান্ড বার্গেইন প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান তারা।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ৬ মার্চ, ২০২২ ২০:১৫

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিবেশ পুনরুদ্ধারসহ একাধিক দাবি জানিয়েছে জেলাটিতে কর্মরত এনজিও এবং সুশীল সমাজের নেটওয়ার্ক কক্সবাজার সিভিল সোসাইটি অ্যান্ড এনজিও ফোরাম (সিসিএনএফ)।
রোববার দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাবি জানায় সিসিএনএফ।
পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সকল প্রকার প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা, ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার না করা এবং বাঁশের ব্যবহার সীমিত করার উদ্যোগ নেয়ারও দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সব প্রক্রিয়ায় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশ নেওয়া নিশ্চিত, ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার না করা এবং বাঁশের ব্যবহার সীমিত করার উদ্যোগ নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন উন্নয়ন সংস্থা পালসের নির্বাহী পরিচালক আবু মোরশেদ চৌধুরী ও কোস্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তৃতা দেন উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান হামিদুল হক চৌধুরী।
উন্নয়ন সংস্থা ইপসার প্রধান নির্বাহী আরিফুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা কর্মসূচিগুলোর কার্যকর সমন্বয়ের লক্ষ্যে ইন্টার সেকটোরাল কো-অর্ডিনেশন গ্রুপের (আইএসসিজি) প্রধান করা উচিত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারকে এবং সহ-প্রধান করতে হবে জেলা প্রশাসককে।
বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার সদস্যরা বলেন, যৌথ চাহিদা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে স্থানীয় সংস্থাগুলোকেও সম্পৃক্ত করতে হবে। জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান বা জেআরপিতে সরকারের অবদানের যথাযথ স্বীকৃতি থাকতে হবে, কারণ ভাসানচরে ৪০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পাশাপাশি সরকার এ পর্যন্ত রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যয় করেছে। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা কর্মসূচি বাস্তবায়নের সব ক্ষেত্রে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে বাংলা ভাষা ব্যবহার করতে হবে। স্থানীয় এবং জাতীয় এনজিওগুলোর মাধ্যমে মোট তহবিলের ২৫ শতাংশ ব্যয় করে গ্রান্ড বার্গেইন প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান তারা।